অবৈধ ইটভাটায় ছেয়ে গেছে বরিশাল। নেই পরিবেশের কোন ছাড়পত্র, প্রযোজনীয় কাগজপত্র।ফলে মারাত্মক হুমকির মূখে পরিবেশ।
বরিশালের সাহেবেরহাট বন্দরথানাধীন চরহিজলতলার এম আর বি,ব্রিকস, চন্দ্রমোহন ঘাট সংলগ্ন এম আই এ,ব্রিকস, মুলাদি থানার মীরগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন ২টি ইটের ভাটাসহ কয়েকশ ইটের ভাটায়। সরাসরিভাবে পরিবেশ বিরোধী ড্রাম চিমনি দ্বারা লাকড়ির মাধ্যমে ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে।যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও সরাসরি কাঠের লাকরি ব্যবহারের কারনে বিলুপ্ত হচ্ছে বনাঞ্চল। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকির কারন হয়ে দাড়াতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসকল ভাটাগুলো নদীর পাশে অবস্থিত হওয়ার কারনে নদীর পাড়ের মাটি অবৈধভাবে কেটে ইট বানানোর কাজে লাগাচ্ছে এ সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা।যাতে করে সৃষ্টি হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভাটাগুলো অবস্থিত হওয়ার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে শাস কষ্ট জনিতরোগ। বার বার এসমস্ত অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এর বিরুদ্ধে দেখা যায়না তেমন কোন প্রতিফলন। মাঝে মধ্যে ২ একটা ইট ভাটাকে সামান্য কিছু জরিমানা করলেও ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বাকিরা।
কথিত ইটভাটা মালিক সমিতি প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ইটভাটাগুলো চালু রেখেছে বলেই এ সমস্ত ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয় না বলে দাবি স্থানীয়দের।
এ সকল অবৈধ ভাটা মালিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, বছরে ৪ লক্ষ টাকা সরকারকে দিয়া ব্যবসা করি আপনারা কি জানবেন ১০০ ভাটায় ৪ লাখ করে কত টাকা দেই। কে বছরে ৪ লাখ টাকা নেয় এই অবৈধভাটার জন্য তা জিজ্ঞেস করতেই মুখ ঘুরিয়ে নেন তারা।
মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার্থে অনতিবিলম্বে এই সকল অবৈধ ইট ভাটাগুলোকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন সচেতন নাগরীকরা।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply